বন্দর ব্যবহারকারী বিভিন্ন সংগঠনের নেতা ও ব্যবসায়ীরা বলেন, কাস্টমস ও বন্দরের নানারকম হয়রানি আর অব্যবস্থাপনার কারণে অনেক ব্যবসায়ী বেনাপোল বন্দর ছেড়ে অন্য বন্দরে চলে গেছেন।
ওই বছর ঘাটতি ছিল দুই হাজার ৯৯ কোটি ৪৩ লাখ টাকা।
২০১৯-২১ অর্থবছরে পণ্য আমদানি করা হয়েছিল ২০ লাখ ৩৮ হাজার ৬৪ মেট্রিক টন। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে পণ্য আমদানি করা হয় ২০ লাখ ১১ হাজার ৬ মেট্রিক টন পণ্য।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আলহাজ্ব মো. শামছুর রহমান বলেন, যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়াতে দুই দেশের ব্যবসায়ীদের বেনাপোল দিয়ে বাণিজ্যে আগ্রহ বেশি। তবে বর্তমানে ডলার সংকটের কারণে সরকার এলসিতে শতভাগ মার্জিন শর্ত দিয়েছে। আবার ব্যাংকগুলো ডলার সংকট দেখিয়ে এলসি খুলছে না। যে কারণে গেল বছরে আমদানি কমে গেছে। আর আমদানি কমলে রাজস্বও কম আসবে এটাই স্বাভাবিক।
যশোরের আমদানিকারক এজাজ উদ্দিন টিপু বলেন, আমরা মোটরসাইকেল পার্টস আমদানি করে তা সারা দেশে বিক্রি করে থাকি। গত এক বছরের বেশি সময় ধরে যশোরের কোনো ব্যাংক এলসি খুলছে না। যে কারণে আমরা চাহিদা অনুযায়ী পণ্য আমদানি করতে পারিনি। পণ্য আনতে না পারার কারণে ব্যবসায়ীকভাবে লোকসান হচ্ছে। সামনে কি পরিস্থিতি হবে কে জানে।
যশোর চেম্বার অব কমার্সের সাবেক পরিচালক মিজানুর রহমান জানান, সরকার এলসি করতে শতভাগ মার্জিন দেবার নিয়ম করেছে। গত কয়েক মাস ধরে ব্যাংকগুলো এলসি খুলছে না। এতে আমদানির সাথে জড়িত হাজার হাজার ব্যবসায়ী অর্থনৈতিকভাবে দূরাবস্থায় রয়েছেন। এখন আমদানিকারকরা চরম বেকায়দায় পড়েছেন। একে তো বাণিজ্য ভালো নেই, তার ওপর পণ্য আমদানি করতে না পারলে আমদানির সাথে জড়িতরা আর্থিকভাবে পঙ্গু হয়ে যাবেন।
বেনাপোল কাস্টম হাউজের যুগ্ম কমিশনার সাফায়েত হোসেন জানান, ডলার সংকটে ব্যবসায়ীরা ব্যাংক থেকে এলসি খুলতে পারছেন না। যে কারণে পণ্য আমদানি কমে গেছে। আর আমদানি কমলে আমাদের রাজস্ব আয়ও কমে যায়। তারপরও গত বছরের চেয়ে আমাদের রাজস্ব আদায়ের প্রবৃদ্ধি ২৮ শতাংশ। ঈদের ছুটির কারণে জুন মাসের কয়েকদিন বন্ধ ছিল। সে কারণে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কিছুটা কম রাজম্ব আদায় হয়েছে। আমাদের এখানে কোনো হয়রানি হয়না বলে তিনি দাবি করেছেন।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.